লকডাউনে যুক্তরাজ্যে নারী নির্যাতন ও হত্যা বেড়ে দ্বিগুন
লকডাউনের প্রথম তিন সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে নারী নির্যাতন আর হত্যার ঘটনা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে সেখানকার নারীবাদী সংগঠনগুলো।
কয়েক জন ‘সাহসী’ নারী নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্যাতনের বর্ণনা দেয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
ডেড ওমেন প্রজেক্ট নামের একটি সংগঠন জানিয়েছে, লকডাউন ঘোষণার পর প্রথম ২১ দিনে ১৪ জন নারী এবং দুই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই সময়ে জরুরি ফোন নম্বরে পারিবারিক সহিংসতা সংক্রান্ত কল ৪৯ শতাংশ বেড়েছে।
ভুক্তভোগী নারীরা একটি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। ‘#YouAreNotAlone’ হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে চলছে তার প্রচারণা।
জেনিফার নামের এক নারী নিজের ছবি প্রকাশ করে দেখিয়েছেন কীভাবে বাড়িতে তাকে মারা হয়েছে। ছবিতে দেখা যায় তার চোখ-নাক ফুলে আছে।
যুক্তরাজ্যে নারী নির্যাতন ইস্যু নিয়ে ‘দ্য কমরেস পোল’ সম্প্রতি জরিপ চালায়। জরিপে বলা হয়েছে, দেশটিতে যৌন হয়রানির শিকার হওয়া ৬৩ শতাংশ নারী এ ব্যাপারে কারও কাছে অভিযোগ করেন না।
জরিপে ২০৩১ জন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর সঙ্গে কথা বলা হয়। তাদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ নারী বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় নানাভাবে যৌন নির্যাতনসহ হয়রানির শিকার হয়েছেন। ওই জরিপে অবশ্য লকডাউনের চিত্র আসেনি। আগের সময়কার কথা বলা হয়েছে।
লকডাউনের সময়ও একই অবস্থা বলে মন্তব্য সংগঠনটির।
সংবাদ২৪/এসডি